ধারাবাহিক গল্প : পলাশী ও আমি (পঞ্চম পর্ব)

 পলাশী আমি  

কাবেরী তালুকদার 

আগে যা ঘটেছে :





 অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরে সর্বাধিক বাৎসরিক ভিউপ্রাপ্ত লেখাটির জন্য থাকবে আকর্ষণীয় উপহার, এছাড়া সর্বাধিক কমেন্টপ্রাপ্ত লেখাটির জন্য রয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায় সরাসরি জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ। আপনিও লেখা পাঠাতে পারেন উপরের মেনুবারে দেওয়া অপশনে  গিয়ে। বিশদে জানতে যোগাযোগ করুন এই নম্বরে: 8013850709

  বিনোদনের তিন দিন : 

সোমবার
কাবেরী তালুকদারের “পলাশী ও আমি”
মঙ্গলবার
দেবদাস কুুুণ্ডুর “মুখোমুখি”
বুধবার
শৌভিক দে-র ছোট গল্প ও কমিক সিরিজ

  • অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তর
  • আপডেট : Happy New Year 2021
  • শৌভিক দে

লেখিকার বিষয়ে কিছু কথা :
(জানতে ব্লগ কমিউনিটিতে চলে যান)


ওপর ওপর যা ঘটেছিলো ,তাই লিখে যাচ্ছি।
প্রথমে বলে নেই ,১৭৫৬,২০শে জুন , সিরাজের কাছে ভিষন শোচনীয় ভাবে ইঙরেজরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো ফলতায়। কোলকাতা থেকে পালিয়েছিল।
২৩শে জুন, ১৭৫৭, মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায়, মাত্র কয়েক ঘন্টার যুদ্ধে মীর মদনের মৃত্যু, এবং বাঙলার শেষ স্বাধীন নবাবের পরাজয়। শুরু হলো দুশো বছরের পরাধীনতা।
এবার চলে যাচ্ছি ফোর্ট উইলিয়াম এর প্রতিষ্ঠায়। কলকাতা ,সূতানটি, গোবিন্দপুর এই তিনটি গ্রামের জমিদার ছিলেন তখন সাবর্ন চৌধুরীরা। এই বঙশের আবির্ভাব ঘটে মান সিংহ এর সময়ে। এই বঙশের যার নাম পাওয়া যায় উল্লেখ যোগ্যভাবে তিনি হলেন লক্ষী কান্ত গাঙ্গুলি।সাবর্ন গোত্র।বাদশা আওরঙজেবের কাছে পাওয়া খেতাব চৌধুরী।
গোবিন্দ পুরে প্রথম বসতী করতে আসেন বসাক এবং শেঠ রা।সরস্বতী নদী তার গতী হারিয়ে একসময় মজে যায়।তখন আদি সপ্তগ্রাম বা সপ্তগ্রাম ছেরেব্যাবসার কারনে চলে আসে গোবিন্দ পুর। এরাই প্রথম হাট প্রচলন করে। ১৬৯০ সালের২৪ কি ২৫ তারীখ জোব চার্নকের জাহাজ নোঙর  করে সুতানুটির ঘাটে। এবার কোলকাতা গোবিন্দ পুর আর সুতানুটি নিয়ে ইঙরেজরা প্রথম বানিজ্য শুরু করলো।গড়ে উঠলো ইঙরেজদের নতুন বানিজ্য ঘাঁটি। কিন্তু কোন বিকল্প ধ অধিকার নেই।জবর দখল করে বসে পরলো।সব সময়ে ভয়ে ভয়ে থাকতো, যদি নবাবের সৈন্যরা উচ্ছেদ করে দেয়।এইরকম সময়ে বরদার জমিদার সোভা সিং তার র সঙ্গে বিদ্রোহ করে।তখন ইঙরেজরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে ১৬৯৬ সালে ভাগীরথীর তীরে অত্যন্ত দ্রুত এক কেল্লা তৈরী করে ফেলে।এই কেল্লার নাই ফোর্ট উইলিয়াম।
বৈধ অধিকার নেই, হবে,আর সোভা সিং ইঙরেজদের সঙে বিদ্রোহ করে হবে। এর দু বছর পরে বাঙলার শাসক হলেন উরঙজেবের নাতি আজিম শান। মোঘোল সাম্রাজ্য তখন ভাঙনের পথে।তানাকে পনেরো হাজার টাকা প্রনামী দিয়ে সুতানুটি গোবিন্দ পুর ও কলিকাতা, এই তিন খানি গ্রাম কিনবার অনুমতি নিয়েছিলো ইঙরেজরা।সপ্তদশ শতকের শেষের দিকে সাবর্ন চৌধুরী দের অবস্থাও পরতির দিকে।সাবর্ন চৌধুরী দের কাছে থেকে মাত্র তের হাজার টাকা নজরানা দিয়ে ইঙরেজরা এই তিনটি গ্রামের সত্ব কিনে নিয়েছিলো। এটাই শুরু।ভারত বর্ষের মাটিতে প্রথম বৈধ ভাবে পা রাখার জায়গা করেনিলো।এক ই সঙে দুটি জিনিস হলো।প্রথম ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ব্যাবসার প্রভুত বার বারন্ত হতে লাগলো এই তিনটি গ্রামকে কেন্দ্র করে,আর দ্বিতীয়ত, এই তিনটি গ্রাম পরিচিত হতে লাগলো কলিকাতা নামে।এ দেশিয় মানুষ রা তখন ইঙরেজদের সাথে হাত মিলিয়ে কিছু কাঁচা পয়সার মুখ দেখতে শুরু করেছে।তারা ধরেই নিয়েছে ইঙরেজরা বাঁচলে এবং এদেশে থাকলে আমরাও বাঁচবো।
তার আগে যাই নবাব মুর্শিদকুলী খাঁ কাছে।কে ইনি?ইনি ছিলেন সুবা বাঙলার দেওয়ান।১৭০৪ সালে ইনি দেওয়ানখানাকে নিয়ে আসেন মুর্শিদাবাদে।এনার নাম উনুসারেই মুর্শিদাবাদে র সৃষ্টি।ঐরঙজেবের মৃত্যুর পরে মোঘলদের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে  বাঙলার প্রথম স্বাধীন নবাব হয়ে বসে পরলেন মসনদে।আর মানিক চাঁদ কে বানালেন মন্ত্রী।এবার মানিক চাঁদ।তাহলে জানতে হবে হীরালাল ওসোয়ালকে।ইনি রাজস্থান থেকে ভাগ্য অন্যেসনেপাটনায় এসেছিলেন। এবং অলৌকিক ভাবে প্রভুত ধন রত্ন সঙগ্রহ করেন।এ ঘটনা সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের।এই হীরালাল বা হীরা নন্দ এই অর্থ দিয়ে ব্যাবসা শুরু করলেন ও খুব অল্প সময়ের মধ্যে আরো অর্থবান হয়ে উঠলেন ।বিবাহ করলেন ।সাতটি পুত্রের জনক হলেন। বিভিন্ন জায়গায় ব্য বসা প্রসারিত করে পুত্রদের গদীতে বসিয়ে দিলেন।আর কনিষ্ঠপুত্র মানিক চাঁদ কে বসালেন ঢাকার গদীতে। মুর্শিদকুলি খাঁ র সঙ্গে সঙ্গে মানিক চাঁদ ও উপস্থিত হলেন মুর্শিদাবাদে।এখানে ইনি ট্যাকশাল ও প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু মানিক চাঁদ ছিলেন অপুত্রক।তাই সহোদরা বোনের পুত্র, ভাগ্নে ফতে চাঁদ কে দত্তক নেন।১৭২৪ সালে মুঘল সম্রাট মোহাম্মদ সাহ্ ফরমান জারি করে জগত শেঠ উপাধীতে ভুষিত করেন। এবং বঙশো পরাক্রমে এনারা জগৎ শেঠ নামেই পরিচিত হবেন।
এতো লোকের পরিচয়ের দরকার হতো না,যদি না এনারা সিরাজ পতনের শরযন্ত্রে লিপ্ত থাকতেন।
১৭২৪সালে প্রথম জগৎ শেঠ উপাধি তে ভুষিত হন মানিক চাঁদের দত্তক পুত্র ফতে চাঁদ। মহম্মদ শা লিখিত ফরমান মানে এক দলিলে এই ফরমানজারি করে ছিলেন।ইনি মুর্শিদকুলি খাঁ র অত্যন্ত প্রিয় পাত্র ছিলেন।ইনিই আবার মুর্শিদকুলী খাঁ য়ের নাতি সরফরাজ খাঁ কে সরযন্ত্র করে মসনদ চুত্য করেছিলেন এবং গিরিয়ার যুদ্ধে সম্পূর্ণ ভাবে পরাজিত করে হত্যা করেন।আর আলীবর্দী কে মসনদে বসতে সাহায্য করেন। ইতিহাস বড় বিচিত্র।যা মনে ভাবা যায় ,তা কখোনো ঘটে না।এই ফতে চাঁদ দীল্লীর দরবারে মোটা টাকা নজরানা বা ঘুষ দিয়ে আলীবর্দী র নবাবী ফরমান আনিয়ে ছিলেন।
(ক্রমশ…)

আগামী পর্বে : 
…এই ভাবেই সুখে দুঃখে আলীবর্দী র জীবন কেটে গেলো।এরপর মসনদে বসলো আলীবর্দী র পেয়ারের লাডলা নাতি সিরাজদ্দৌলা ।…

✓ সপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ট কমেন্টদাতার জন্য রয়েছে বিশেষ সম্মান…

প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১
Souvik Dey

Hello. My name is Souvik Dey. I am a B.Tech. 3rd year student. I did my diploma in civil engineering and currently pursuing BTech in Computer Science. My team and I run this blog together. Don't forget to share these articles with your friends. Thank you.

Post a Comment

Thank you for your valuable time.
We are fond of your comments.(but, do not spam)

Previous Post Next Post