পলাশী ও আমি
কাবেরী তালুকদার
আগে যা ঘটেছে : বিনোদনের তিন দিন :
সোমবার
কাবেরী তালুকদারের “পলাশী ও আমি”
মঙ্গলবার
দেবদাস কুুুণ্ডুর “মুখোমুখি”
বুধবার
শৌভিক দে-র ছোট গল্প ও কমিক সিরিজ
- অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তর
- আপডেট : Happy New Year 2021
- শৌভিক দে
লেখিকার বিষয়ে কিছু কথা :
(শীগ্রই জানবেন)
বিখ্যাত ঐতিহাসিক সুশীল চৌধুরী তাঁর লিখিত বই, পলাশীর অজানা কাহিনীতে একটি অধ্যায় শুধু এই ষরযন্ত্রকারীদের নিয়ে লিখেছেন। তিনি লিখেছিলেন, স্বাধীন সূর্য অস্ত যাবার মূল চক্রিরা। পলাশীর যুদ্ধকে উপলব্ধি করতে হলে মুল নায়কদের পরিচয়, ধ্যান-ধারনা জানতে হবে। কিন্তু আমরা নতুন করে আর বিশ্লেষণ করবো না। শুধু এইটুকুই বলি দেশীয় ষরযন্ত্রকারীদের হলেন মীরজাফর , জগৎ সেঠ, উমি চাঁদ, রায় দূর্লভ, ইয়ার লতিফ, খোজা ওয়াজিদ। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র-এর নাম কিন্তু কোথাও নেই। অতি সুচতুর কৃষ্ণচন্দ্র মাঝে মাঝেই কালীঘাটে মায়ের দর্শনে যেতেন।অতি নিপুণভাবে কার্য সিদ্ধি করে এসে ছিলেন উচ্চাকাঙ্ক্ষী ক্লাইভের কানে ভারত বর্ষ গ্রাসের সময় ও সুযোগ এর কথা শুনিয়ে। ওরা এসেছিলো ব্যবসা করতে। এখন দেশের লোকেরাই পথ দেখাচ্ছে সিংহাসনের। আর এই যুদ্ধে যে তিনজন ইঙরেজ উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেছিলেন তা্রা উইলিয়াম ওয়াটস, লিউক স্ক্রাফটন ও রবার্ট ক্লাইভ। এই ক্লাইভ ছিলেন বলতে গেলে বাপে তাড়ানো মায়ে খেদানো ছেলে। দেশে বাপ মাকে জ্বালিয়ে খেয়েছে।লেখাপড়ায় তোএকেবারে লবডঙ্কা। অতিষ্ঠ হয়ে শেষে বাবা ভারতবর্ষের ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানিতে একটা ছোট্ট ক্লার্কের পদে ঢুকি য়ে দিয়েছিলেন। দুগ্গা বলে জাহাজ ছারলো, তিনিও সস্তির নিশ্বাস ছারলেন। কৃষ্ণচন্দ্র যখন ক্লান্ত শোনাচ্ছিলেন কি করতে হবে, সেই সময় ক্লাইভ ভাবছিলো। তিনি তখন মাদ্রাজে সিরাজ, ফোর্ট উইলিয়াম এ ইঙরেজদের নতুন কুঠি ভেঙে চছনছ করে দিয়েছিলো। আবার স্টান্ড রোডে ইঙরেজদের কুঠি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে গেছে। ওখানে ছিলো একশো ছাপ্পান্য জন। এমনভাবে আটকে রেখেছিলো গরমে আর জলের অভাবে মাত্র তেইশ জন বেঁচে ছিলো। ফোর্ট উইলিয়াম-এও এমন একটি গুদাম ঘর আছে, যেটাতে একটা কুপ ছিলো, সেখানেও সিরাজ যখন ফোর্ট আক্রমন করেন ,মীর মদনের পরিকল্পনায় বহু ইঙরেজকে ঐ কুপে হত্যা করা হয়। আবার বর্তমান পুলিসের প্রধান কার্যালয় লালবাজার-এও একটি ঘর আছে, যেখানে সিরাজের ঘোড়া রাখার আস্তাবল ছিলো। সম্ভবত এখনও সেই ঘরের দরজায় কিছু লেখা আছে। বর্তমানে ঘরটি অস্ত্র রাখার একটি গুপ্ত ঘর। যাইহোক ষরযন্ত্র শেষ। বর্ষাকাল ভাবনা চিন্তা করে ক্লাইভকে জানানো হলো উপযুক্ত সময়। ২৩শে জুন ভোরবেলা অবিশ্রান্ত বৃষ্টি পরেই যাচ্ছে। সিরাজ প্রাসাদের ছাদ থেকে মদনলালকে সঙ্গে নিয়ে দূরবিন দিয়ে দেখলেন , মাত্র পনেরশো জন সৈন্য বাহিনী আর মাত্র দুটি কামান নিয়ে ক্লাইভ পলাসীর আমবাগানে উপস্থিত। সিরাজ এবং মদনলাল দুজনেই হেঁসে উঠেছিলেন। সিরাজের তিনজন সেনাপতী। প্রত্যেকের কাছে কমকরে চারটি করে কামান। এক একজনের কাছে কম করে ছয় থেকে আট হাজার সৈন্য। আর সবার সামনে দাঁড়িয়ে আছে দল মাদল। দলমাদলের একটি গোলা পুরো ক্লাইভ সুদ্ধু গোটা টিমকে উড়িয়ে দিতে সক্ষম। দলমাদলের দায়ীত্ব মীরজাফরের উপর।সিরাজ চান না অকারনে মানুষের মৃত্যু।
অনেক অনেক ঘটনা আছে মধ্যে। আমি আর অত গভীরে ঢুকছি না।
(ক্রমশ…)
আগামী পর্বে :
…১৭৫৬, ২০শে জুন , সিরাজের কাছে ভিষন শোচনীয়ভাবে ইঙরেজরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো ফলতায়। কোলকাতা থেকে পালিয়েছিল…
প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১