পলাশী ও আমি
কাবেরী তালুকদার
আগে যা ঘটেছে : বিনোদনের তিন দিন :
সোমবার
কাবেরী তালুকদারের “পলাশী ও আমি”
মঙ্গলবার
দেবদাস কুুুণ্ডুর “মুখোমুখি”
বুধবার
শৌভিক দে-র ছোট গল্প ও কমিক সিরিজ
- অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তর
- আপডেট : Happy New Year 2021
- শৌভিক দে
লেখিকার বিষয়ে কিছু কথা :
(শীগ্রই জানবেন)
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বাঙলা বিহার উড়িষ্যা র শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা র রাজধানীতে পৌঁছে গেলাম।দলমাদল কামানের সামনে দাঁড়িয়ে কতকথা হুরমুর করে মনে পরে গেলো, সেই বিখ্যাত শরযন্ত্রের কথা।যগৎ শেঠের প্রাসাদের গোপন কক্ষে হচ্ছে সেই ষড়যন্ত্র।এঘরের আবার গুপ্ত সুরঙ্গ আছে। সোজা গিয়ে গঙ্গায় মিলেছে। সেখানে একটা নৌকা সব সময় বাঁধা থাকে।কিসের ষড়যন্ত্র? একটা তেইশ বছরের উদ্ধত উৎশৃঙ্খল ছেলের বিরুদ্ধে, যে কিনা নবাব আলীবর্দীর অত্যন্ত স্নেহ ভাজন নাতি এবং বর্তমানে বাঙলা বিহার উড়িষ্যার নবাব। যুবকটির অনেক খারাপ গুন। কিন্তু সব ঢেকে যায় তার দেশপ্রেমিক রূপ দেখলে। দেশকে, তার মাতৃভুমিকে সে সত্যি খুবই ভালোবাসতো। তার নাম নবাব সিরাজদ্দৌলা। আচ্ছা, জগৎ শেঠ-এর বাড়িতে মিটিং এর দেরি হচ্ছে কেন? দেরির কারন, আসল পাকা মাথার লোকটি, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তখনো এসে পৌঁছয়নি। পরে আসছি কৃষ্নচন্দ্রর কথায়। আগে বলেনি এই জগৎ শেঠ আসলে কে। জগৎ শেঠ আসলে রাজস্থানের মারোওবারের নাগর নামক গ্রামের লোক। সেই সুদূর নাগর থেকে বাঙলায় এসেছিলেন ভাগ্য অন্ব্যেষনে মানিক চাঁদ ও তাঁর ছেলে ফতে চাঁদ। ১৭২২ সালে ভাগ্য তাঁদের অতি দ্রুত ফিরেছিলো। মোঘল সম্রাট মহম্মদ শাহ , মুর্শিদকুলি খার আবেদনে , বাপ-বেটাকে জগৎ শেঠ বা দুনিয়ার রাজা উপাধিতে ভূষিত করেন।
এই কামানে মদনলালের হাতের স্পর্শ রয়েছে। এই পথ দিয়ে সিরাজ ঘোরার পিঠে চড়ে গিয়েছেন একদিন। আমার এই অনুভূতি শ্যামলীকে বললাম। সঙ্গে সঙ্গে শ্যামলী বলে উঠলো , ওরে দুশো ধরে প্রচূর ঝর বৃষ্টি হয়েছে। সব ধুয়ে মুছে গেছে। আমি ভাবলাম, সত্যিটা তো আর ধুয়ে মুছে যাইনি।
আগামী পর্বে :
স্টান্ড রোডে ইঙরেজদের কুঠি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে গেছে। ওখানে ছিলো একশো ছাপ্পান্য জন। এমনভাবে আটকে রেখেছিলো যে, গরমে আর জলের অভাবে মাত্র তেইশ জন বেঁচে ছিলো।
প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১