ধারাবাহিক গল্প : মুখোমুখি (অষ্টম পর্ব)

মুখোমুখি ধারাবাহিকের অষ্টম পর্ব পড়ুন অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরে, লিখছেন লেখক দেবদাস কুুুণ্ডু। প্রতি মঙ্গলবার থাকছে শুধুমাত্র আপনাদের জন্য…



গল্প : মুখোমুখি


Img. Loading…
 অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরে সর্বাধিক বাৎসরিক ভিউপ্রাপ্ত লেখাটির জন্য থাকবে আকর্ষণীয় উপহার, এছাড়া সর্বাধিক কমেন্টপ্রাপ্ত লেখাটির জন্য রয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায় সরাসরি জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ। আপনিও লেখা পাঠাতে পারেন উপরের মেনুবারে দেওয়া অপশনে  গিয়ে। বিশদে জানতে যোগাযোগ করুন এই নম্বরে: 8013850709

  বিনোদনের তিন দিন : 

সোমবার
কাবেরী তালুকদারের “পলাশী ও আমি”
মঙ্গলবার
দেবদাস কুুুণ্ডুর “মুখোমুখি”
বুধবার
শৌভিক দে-র ছোট গল্প ও কমিক সিরিজ

  • অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তর
  • আপডেট : Happy New Year 2021
  • শৌভিক দে

  • লেখক পরিচিতি : 
Img Loading…

  অষ্টম পর্ব  

সংগীতার কথায় অনির্বাণ বিস্মিত গলায় বলে, ‘শুধু স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি নয়, ছবিটা দেখতেও পাচ্ছি। তারপর?’

‘তারপর আবার কি? আজকাল বাবা আগের মতো সংসারে টাকা দেয় না। দাদু এখনও বাজারে সবজি বেচে; দাদু টাকা দিচ্ছে। বাবা মায়ের সঙ্গে তেমন কথা বলে না। আমরা দু’চারটে আবদার করলে মুখ করে। যেন আমরা ওনার মেয়েই নই। রাতে ক্লাবে গিয়ে শোয়।’

আর মা?’ অর্নিবাণ প্রশ্ন করে।

‘মা শুধু গোপনে কাঁদে। আমি তো আর জিগ্যেস করতে পারি না, তুমি কেন কাঁদছো মা? সব তো বুঝি। মা’র তো কোন দোষ নেই। অসুখ হলে একটা মানুষ সুস্থ হবার জন্য যা করে মা তাই করেছে। অন্যায়টা কোথায়! একটা পুরুষের, হোক সে স্বামী, সারা জীবনের যৌন ক্ষুধা মেটাতে ক্যানসারের মতো মারণ ব্যাধি ধারণ করবে জঠরে?’

অনির্বাণ চুপ করে থাকে।

‘হ্যালো তুমি শুনতে পারছো?’ সংগীতা বলে।

‘আমি শুনে স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছি।'’

‘একটু রাত হয়েছে। তবু তোমাকে ফোন করছি। নিজের ঘরে শুলে করতে পারতাম না; রুকিনীদির ঘরে শুয়েছি। ওর মা গেছেন বৃন্দাবন। রুকিনীদি ওর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলছে। ওহ! যে কথা বলছিলাম, জানো মা এখন কি করে!’

অনির্বাণ শব্দ করে না।

‘শুনছো তো! মা এখন সংসারের সব কাজ করে যখনই পারে পাড়ার রাধা গোবিন্দ মন্দিরে চলে যায়। কি করবে বল! এতদিন স্বামীই ছিল তার আশ্রয়। এখন কৃষ্ণকে আঁকড়ে ধরে নিজের যন্ত্রণা, কষ্ট আর বিপন্নতা ভুলতে চাইছে। তাই তোমাকে বলছিলাম, লেখায় যৌনতা নেই কেন…’

অনির্বাণ বলে, ‘আমি তো এই জীবন দেখিনি; এই মানুষদের সঙ্গে পরিচয় হয়নি।’

‘তুমি আমার বয়ফ্রেন্ডের কথা বলছিলে না? ওর সঙ্গে এখন আমার কোন সম্পর্ক নেই।’

‘কেন? কি হয়েছে?’ অনির্বাণ বুঝতে পারছে সে আজ এক গোপন ভুবনে ঢুকে পড়ছে। 

‘ও লিভ টুগেদার চাইছিল।’

‘আজকাল অনেকেই এই সিস্টেমে থাকছে।’

‘জানি। কিন্তু আমি এতে বিশ্বাসী নই। আমি বস্তির মেয়ে, খুব সাধারণ। আমাদের পরিবারে কাছে বিয়ে মানে একটা পবিত্র বন্ধন। রিচুয়েরিতে আমি বিশ্বাস করি।’

‘তা তুই বিয়ের কথা বলিসনি?’

‘বলেছি তো! ও বলল, তুমি তো জানো আমার চাকরিটা অস্থায়ী। কোন নিশ্চয়তায় আমি সংসার গড়বো! আমি বলেছিলাম, লিভ টুগেদার তো একটা অস্থায়ী সম্পর্ক। কোন ওবলিগেশন নেই। ইচ্ছে হলে থাকো, না হলে চলে যাও। ও বলল, হ্যাঁ ঠিক তাই। আমি বললাম, তাহলে ভালোবাসা? ও বলল, ভালবাসা হল এই শরীরটা; আর যে কঙ্কালের ওপর এই শরীরটা দাঁড়িয়ে আছে, সেটা আসলে যৌনতা। তাই ভালবাসা যৌনতা ছাড়া হয় না।’


ক্রমশ…

… সবচেয়ে সুন্দর কমেন্টদাতার জন্য রয়েছে সপ্তাহের শেষে বিশেষ সম্মান …

  • গল্পটি এখনই সম্পূর্ন পড়তে হলে চলে যান নিচের বক্সে দেওয়া ঠিকানায় :


প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১
Souvik Dey

Hello. My name is Souvik Dey. I am a B.Tech. 3rd year student. I did my diploma in civil engineering and currently pursuing BTech in Computer Science. My team and I run this blog together. Don't forget to share these articles with your friends. Thank you.

Post a Comment

Thank you for your valuable time.
We are fond of your comments.(but, do not spam)

Previous Post Next Post