“লোকটা” : লেখক গৌতম মণ্ডলের লেখা একটি সুন্দর গল্প পড়ুন

 লোকটা : গৌতম মণ্ডল

 
Img. Loading...

 সংলগ্ন তথ্য : 

ব্লগে লিখুন
এখন আপনিও খুব সহজে নিজের লেখা প্রকাশ করতে পারবেন
অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরে
লেখককে লিখুন
গল্পটি পড়ে লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
মেইল আইডি : gmondal916@gmail.com
©️ কপিরাইট
লেখক এবং প্রকাশকের অনুমতি ছাড়া গল্পটির কোনোরূপ ব্যবহার বরদাস্ত করা হবে না,
প্রয়োজনে ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তর
  • সর্বশেষ আপডেট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০
  • শৌভিক দে


দুলাল মোড়ের দিক থেকে আসছিল লোকটা। কত আর বয়স হবে, পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন! অনেকক্ষণ বিড়বিড় করছিল ঝুনা বরের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে। শরীরে কোনো অস্থিরতার চিহ্ন নেই, অথচ মুখ চলছে অবিরাম। বিড়বিড় করা মানে নিজের সঙ্গে নিজে কথা বলা। মাত্রাতিরিক্ত হ'লে লোকে পাগল বলে। কিন্তু এ লোকটার শরীরে, পোশাকে পাগলামির কোনো ছাপ নেই। স্বাভাবিক লোকেরা নিজের সঙ্গে নিজে অত কথা বলে  না। তারা যা বলার বা যা শোনানোর তা অন্য কাউকে বলে বা শোনায়। নিজের সঙ্গে কথা বলার সময়ই বা আজকাল লোকে পাচ্ছে কোথায়! সকাল থেকে রাত অবধি পাণ্ডিত্য বলো আর ক্ষমতা বলো, যত বেশি সংখ্যক লোককে সে দেখাতে পারবে তার উপরেই না তার সব সাফল্য! নিজেকে বুঝুক আর না বুঝুক সে দেশশুদ্ধ লোককে বোঝার দায় নিয়ে ভোরের চা থেকে রাতের বিছানা অবধি হেঁটে চলে। নিজেকে না বোঝা,  নিজের সঙ্গে দিনে এক মিনিটও কথা না বলা লোকগুলো স্বাভাবিক; আর নিজের সঙ্গে সারাক্ষণ কথা বলা লোকগুলো পাগল - এই সত্য সভ্যতা মেনে নিয়েছে।
 সভ্যতা যাই মানুক, লোকটা যে অনেক কিছু মানতে চায় না সে তার মুখভঙ্গি থেকে খুব স্পষ্ট। অথচ সে দিব্যি ভদ্র লোকের মতো পরে আছে একটা পাজামা পাঞ্জাবি। দিব্যি তেড়ি দিয়ে চুল আঁচড়ানো, পায়ে খাস ব্র‍্যাণ্ডের জুতো জোড়া। দাঁড়িগোঁফ কামানো। বাঁ হাতের কবজিতে ইয়া বড় ডায়ালের অলওয়েন ঘড়ি। একে দেখে ‘পাগল’ বলে এমন পাগল পৃথিবী এখনো পয়দা হয়নি। কিন্তু স্পষ্ট তার মাথার ভিতরে ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা ভারতবর্ষের জটিল নাড়িভুড়ি। 
কৌতূহল এমন জিনিস আপনিই বুঝবেন না যে, আপনি সাপের মাথায় নাকি সিঁড়ির লেজে পা রাখছেন। সমস্ত কৌতুহল আসলে অন্ধকারে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া ছাড়া কিছুই নয়। অন্ধকারে কোন্ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে অব্ধকারের ভিতর আন্দোলন তোলা যায় সেটুকু ভাববার সময় থাকে  না বলে আলো আর অন্ধকারের সীমান্তে এসে বারবার আটকে যাই আমরা।
আমতা আমতা করে বল্লাম - ইয়ে মানে কোথা থেকে আসছেন?
লোকটা একটু হাসে, আমাকে বলছেন?
আজ্ঞে হ্যাঁ।
আমি...  আমি...  আমি... আজ্ঞে ভারতবর্ষ থেকে আসছি।
আমি একটু অবাক হলাম, অ্যাঁ... 
হুম। ঠিকই বলেছি। শুনুন..
হ্যাঁ,
একটা মেয়ে, ধরুন ১৫ কি ১৬ হবে।
আমি মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। কী সব অসংলগ্ন কথা! এর মধ্যে মেয়ে এলো কোত্থেকে! বললাম, মেয়ে?
আজ্ঞে পুরোটা শুনুন আগে।
হ্যাঁ।
বলুন দেখি কি ক'রে বুঝবেন মেয়েটা সুন্দরী কিনা?
কি করে?
বুক দেখে। বুকটা ঢিবির মতো হলে বুঝবেন সুন্দরী। আবার ওই ঢিবিটার কথা যদি রাতবিরেতে ঘুমের ভিতর মনে পড়ে।আহা! তখন কেমন একটা উত্তেজনা! তার ফ্রকটা আলগা করে হাত দুটো ধরে একবার ডান দিকে একবার বাঁ দিকে ঠোঁট,  জিভ, দাঁত.. 
ধুত্তোর! থামুন থামুন!
কেন? আপনিই তো জিজ্ঞেস করলেন।
হ্যাঁ, কোথা থেকে আসছেন, সেটা জানতে চেয়েছিলাম।
বললাম যে ভারতবর্ষ থেকে।
ওহ!
কোথায় যাবেন?
একজন ভোটারের কাছে।
ভোটারের কাছে?
হুম! ধরুন একটা বুড়ো। ৮০/ ৯০ হবে। ভোটার কার্ড আছে। ভোটের দিন কী তার সাজগোজ! শুয়ে আছে। ওষুধ নেই, ডাক্তার নেই, খাবার নেই। 
কী নাম বলুন তো লোকটার?
নাম? সংসদীয় গণতন্ত্র।
ধুত্তোর!
বিরক্ত হচ্ছেন? সিগারেট খান, আমি দেখি গণতন্ত্রটা মরল কিনা। জানেন, ওটা না মরা অবধি... 
আর কথা বাড়াই না। এই শালা লোকটা উন্মাদ নয়, দিব্যোন্মাদ। সকাল সকাল মাথার বারোটা বাজিয়ে দিয়ে ছেড়েছে। দুলাল মোড়ে সামান্য একটা রেপ হয়েছিল, মানছি রেপ করে মেয়েটাকে খুন করে ফেলেছিল লোকগুলো। তাই বলে দুলালমোড়ের নাম ভারতবর্ষ হয়ে যাবে কোন দুঃখে! তা, এমনি এমনি কি কেউ ছেড়ে দিয়েছে! প্রতিবাদ, মিছিল, টিভির চেঁচামেচি, কী না হয়েছে! একজন তো ধরাও পড়েছিল। এখন অবশ্য কোনো খোজঁ রাখে না কেউ। আরে বাবা, একটা রেপের পিছনে, একটা মার্ডারের পিছনে, কতদিন ধরে লোকে ছুটবে, কতদিন ধরে লোক প্রতিবাদ জারি রাখবে! 

  • প্রয়োজনীয় ট্যাগ : গল্প, লোকটা, গৌতম মন্ডল, অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তর, গ্রহ-তারা সাহিত্যপত্র।


লোকটা সকাল বিকেল সন্ধ্যা আমার সঙ্গে জড়িয়ে আছে কাঁঠালের আঠার মতো। মাঝে মাঝে বিরক্তি লাগে, কিন্তু সময় কাটে ভালো। হাতে কাজ নেই, মাথায় চিন্তা নেই, কারুর লিছনে লাগা নেই, তৃণমূল বিজেপি করার লোক পাইনে, কার কত টাকা সুইস ব্যাংকে আছে বলার মতো কাউকে পাইনে, তখন এ লোকটা খুব কাজে আসে। তাকে অবশ্য এক বললে সে তার উত্তর দেয় বিপরীত।  কিন্তু সময় কাটে বেশ ভালো। লোকটা পাগল হিসাবে পরিচিতি না পেলে পণ্ডিত হিসাবে নিশ্চই পেতো। পাগলের পাগলামি আর পণ্ডিতের হেঁয়ালির মধ্যে দূরত্ব কত এই বিচার করতে গিয়ে নির্ঘাত লোকে পাগলই হয়, তাই করিনি। কিন্তু ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে শিরদাঁড়ায় কারুর অদৃশ্য পা যদি খানকতক লাথি মারে এবং তা যদি একবার সহ্য-সীমার আওতায় এসে পড়ে তাহলে আপনি মহান। আপনি সব হজম করতে পারবেন। এই যে ধরুন, দুলাল মোড়ের রেপ, সংসদ মিটিংয়ে মারামারি, ভোটের দিন নিজে ছাপ মারার বদলে নিজের পাছায় কেউ জোর ছাপ দিয়ে তাড়িয়ে দিলো - এসব যেহেতু অনায়াসে সহ্য করা শিখেছি তখন এ লোকটার অদৃশ্য লাথি দু একটা খেতেও কিছু যাবে আসবে না। কিন্তু মুশকিল হয় মাঝে মাঝে, লোকটা আদৌ পাছায় লাথি মারলো না বুকের বাঁদিকে হাতুড়ি মারলো অথবা লোকটার কথা মাথা দিয়ে শুনবো নাকি বুক দিয়ে শুনবো ঠাওর করতে পারিনে। 
 ঝুনা বরের দোকানের সামনের বেঞ্চিতে লোকটা সকালবেলা অবধারিত আমার পাশে এসে বসে যায়। চায়ের দোকানে যা হয়, কিছু একটা পেলেই হলো। সেটা নিয়ে ৩৬০ রকম এংগেল থেকে, ৫৩৫ রকম দার্শনিক ভঙ্গি দিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবেই হবে। আজ ঝড়ের কথা হচ্ছিল। কাল দুপুরে ঝড় আসবে। কত কিলোমিটার বেগে ঝড় আসবে, এবং সেটা এলে কার কার ঘর ভেঙে পড়বে, নদী বাঁধের কোন জায়গা দিয়ে জল ঢুকে আগে কার ঘর ভাসবে, ঝড়ের পর নেতা মন্ত্রীরা কে কত টাকা ঝাড়বে তার পাই পয়সার নিখুঁত হিসেব বিভিন্ন ভাবে আলোচিত হচ্ছিল। আর সেই সময় লোকটা আমার পাশে এসে বসে, ঠোঁট আলতো ফাঁক করে বলে, "এখনো এত...!"
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করি, "কী?"
বাচাল! মুখে জালতি লাগিয়েও থামে না।
জালতি! আমি হেসে উঠলাম।
সবার মুখে মাস্ক। আর তাতেও খামতি নেই দেশচর্চার। আমি মনে মনে আরও একবার হাসি। 
কিন্তু আপনার মুখে মাস্ক নেই কেন?
উত্তরে লোকটি বলে-
চারটে ছেলে একটা বিড়ি কাউন্টার করে খাচ্ছে।
ব্যাস! শালা! শুরু হয়ে গেল! এক প্রশ্ন, অন্য উত্তর। আমিও ছাড়ার পাত্র নই, বললুম -
কাউন্টার? একদম ঠিক নয়। শালাদের পুলিস পেটাচ্ছে, ঠিক হচ্ছে।
লোকটা হাসে। যেন তাচ্ছিল্যের হাসি। আমার গা রিগরিগ ক'রে উঠে। বললাম -
হাসলেন কেন?
একটা ছেলে। চব্বিশ পঁচিশ হবে। টাকা দিয়েছিল। জমি বিক্রী ক'রে। চাকরীও হয়নি, টাকাও পায়নি। গলায় দড়ি দিয়েছে।
যাহ্ শালা, একে রামায়ন বললে মহাভারতে চলে যায়। বিরক্ত হয়ে বললাম -
আরে আমার কথার উত্তর দিন।
উত্তর?
হ্যাঁ।
নাহ্, আমি দক্ষিণে যাবো। শ্মশানের কাছে। দেখতে যাবো। অতবড় ভারতবর্ষ! বড় করে চিতা সাজাতে হবে তো!
ধুর শালা। নেহাৎ কিছুদিন অভ্যাস হয়ে গেছে। নইলে লোকে এর কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে উন্মাদ হতে পারে, মানুষ খুন অবধি করে ফেলতে পারে।
দোকানদারকে ইশারা করে বললাম,  "ওকে আগে চা দে, খেয়ে শালা বিদেয় হোক।"
এমনিতে কাল ঝড়ের আগাম খবর আছে। মন ভালো নেই। তার উপর এই বিরক্তিকর কথাবার্তা! দোকানদার চা দেয়। লোকটা আমার দিকে তাকায়। আমি তাকে এড়াবার জন্য বললাম,  " আমি লাল চা খাবো, হয়নি এখনো। আপনি খেয়ে কাজে যান।"
লাল চা? 
হ্যাঁ।
রক্ত কত টাকা লিটার চলছে এখন?
ধুর শালা! আবার সেই ঘ্যানঘ্যানানি। 
জানি না। আপনি কাজে যান।
কাজ?
হ্যাঁ।
ট্রেনের টিকিট কাটা হয়নি তো।
টিকিট?
হ্যাঁ।
কেন? ইয়ে মানে... 
মুখোশ আছে?
মুখোশ?
হ্যাঁ। মুখে বাঁধবো। অতটা রাস্তা। কেরালা কি এইখানে, বলুন?
আমি চুপ করে থাকলাম। অন্যদিন হলে এই পাগলামিটা উপভোগ করতাম। দু চারজনকে ডেকে বসিয়ে লোকটার পাগলামি শুনতাম একসঙ্গে। আজ মুড ভালো নেই। লোকটাকে সহ্য হচ্ছে না আজ একদমই। চা খাওয়া হয়ে গেল। পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখ মুছলো। তারপর উঠে পড়লো।
আসি।
হুম।
একটা নিমগাছ ভালো দেখে রাখবেন।
নিম গাছ!
হ্যাঁ।
চন্দন কাঠ দিতে পারবো না, অন্তত একটা নিম কাঠ না দিলে নয়।
কিছুই বুঝলাম না। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলাম। লোকটা চলে গেল।



একতলা স্কুল বাড়ি। কম করে জনা বিশেক লোক বাচ্চাকাচ্চা, মহিলা জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে। ভিজে একশা হয়ে গেছে৷ ঝড়ের মধ্যে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে। আমার হাতে একটা পোটলা। আধো অন্ধকারে আমার চোখ পড়ল লোকটার দিকে। ডান পা দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়ে মেঝে ভিজে যাচ্ছে। 
এত রক্ত! চমকে শিউরে উঠলাম। তাড়াতাড়ি পোটলা খুলে গামছা বের করলাম। লম্বালম্বি ছিঁড়ে লোকটার পায়ে বেঁধে দিলাম। কিছুতেই বন্ধ হতে চায় না। গামছা ভেদ করে চুঁইয়ে পড়ছে। লোকটা উদাসীন। নদী বাঁধের দিকে তাকিয়ে আছে। বাঁধ টপকে ঢেউ ঢুকে আসছে গ্রামের মধ্যে। ভাঙতে ভাঙতে গরুর শিংয়ের মতো হয়ে গেছে বাঁধটা। যেকোনো সময় হুড়মুড়িয়ে জল ঢুকে আসবে। সামনের ইলেক্ট্রিক পোষ্টটা দুলছে। ঘরগুলো খেলনার মতো ভেঙে পড়ছে। আমার মুখ থেকে বেরিয়ে এলো-
এ কী! যেন যুদ্ধ হচ্ছে।
যুদ্ধ? লোকটা মুখ খুললো।
হুম।
জানেন, যুদ্ধখাতে এদেশে বরাদ্দ বড্ড কম।
মনে মনে একটা কুৎসিত গালাগাল দিলাম। মুখে বললাম,- না, ওটাই সবচেয়ে বেশি এদেশে।
তাহলে এত সরঞ্জাম কম কেন?
সরঞ্জাম কম!
সৈন্যরা দুর্বল কেন?
পাশ থেকে ভটা খৈনি ঝাড়তে ঝাড়তে বল্ল "শালা, পাগলাচোদা।"
আমি বললাম, কোথায় সরঞ্জাম কম?
কোথায় সৈন্যরা দুর্বল? 
লোকটা আঙ্গুল তুলে ভাঙা বাঁধ আর সদ্য ভেঙে পড়া ইলেকট্রিক পোষ্ট, ঘরবাড়ি দেখাল।
আমি গুরুত্ব দিলাম না। তাকিয়ে দেখলাম বাঁধ ভাঙছে। এখানে থাকা আর নিরাপদ নয়। লোকটা অস্ফুটে বললো, "শেষ সৈন্য, বর্ডারে লড়ে যাচ্ছে। হেরে গেলেই এ দেশ জলের..."
আমি চেঁচিয়ে সবাইকে বললাম, "চলো পালাই, নয়তো ডুবে মরবো।"
সবাই হাতে পোটলা তুলে নিল। কেউ একজন বল্ল "গোয়ালে গরু..."
দড়ি খুলেছ?
না।
যাবো?
না, গেলে আর ফিরতে পারবেনা। মরুক গোরু, নিজে বাঁচো শালা।
লোকটার হাত ধরলাম। বাতাসের ঝটকার মধ্যে বাইরে বেরোলাম। লোকটা হাত ছাড়িয়ে পাড়ার দিকে দৌড়াতে শুরু করলো। 
আরে, আরে কী করছেন?
দমকা বাতাসের মধ্যে ভেসে এলো-
গোরুগুলো ছাড়তে হবে। হো হো করে হাসছে লোকটা।
সৈন্যরা হেরে গেছে। ভোটার যাচ্ছে, ভোটার। সীমান্ত আগলানো শেষ। এখন সরিয়ে আনতে হবে ওদের।
বাতাসের শব্দে কিছুই আর শোনা যাচ্ছিল না। লোকটা চীৎকার করতে করতে পাড়ার দিকে দৌঁড়াচ্ছে। ওদিকে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে হু হু করে। পোটলা বগলদাবা ক'রে জনা বিশেক লোক দৌড়ে পালাচ্ছে উত্তুরের দিকে।


প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ২৬ শে অক্টোবর, ২০২০
Souvik Dey

Hello. My name is Souvik Dey. I am a B.Tech. 3rd year student. I did my diploma in civil engineering and currently pursuing BTech in Computer Science. My team and I run this blog together. Don't forget to share these articles with your friends. Thank you.

1 Comments

Thank you for your valuable time.
We are fond of your comments.(but, do not spam)

  1. Anonymous1:28 AM

    খুব সুন্দর গল্পটা ❤️

    ReplyDelete
Previous Post Next Post