স্থিতিশীল অবস্থা ফেরানোর আগ্রহই দেখালো না ভারত।
সংলগ্ন তথ্য :
ভারত-চীন সম্পর্ক
এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই ইন্দো-চীন সম্পর্কে যে টানা-পোড়েন চলে আসছে তার তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে।
LAC বিপাক
লাদাখ সীমান্তে যে বিপুল চিনা সৈন্যবাহিনী নিপুণ করা হয়েছে, তা নিয়ে গভীর চিন্তায় ভারত।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক সম্পন্ন।
- অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তর
- সর্বশেষ আপডেট : ১১ ই সেপ্টেম্বর,২০২০(দুপুর ১২টা)
- শৌভিক দে
লাদাখে দু'দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র স্থবিরতার মধ্যে ভারত ও চীন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হলো। তবে, দুই দেশের মধ্যে 'স্থিতাবস্থা পুনরুদ্ধার' করতে ব্যর্থ এই বৈঠক।
LAC সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করা নিয়ে ভারত এবং চীন উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা হয় আজ। চীনের বিপুল সৈন্যের আগমনে যে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে করেই এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেই ভারত সরকার। বৈঠকে ছিলেন ভারত বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং চিনা মন্ত্রী ওয়াং ইয়।
- প্রয়োজনীয় ট্যাগ : ভারত-চীন বৈঠক, জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ইয়, LAC সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন, চিনা সেনা মোতায়েন, চিনা আগ্রাসন, লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনা ওয়াকিবহল
ভারত ও চীন, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) পাশাপাশি মে মাস থেকেই তীব্র স্থবিরতা নিয়ে জড়িত ছিল এবং বেশ কয়েক দফা সামরিক-স্তরের আলোচনা সত্ত্বেও এই বিরোধ সমাধানে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয় দুই দেশ। বৃহস্পতিবার দু'জন মন্ত্রী রাশিয়ায় বৈঠক করার সময় উভয়ই একমত হয়েছিলেন যে, বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি ভারত ও চীন পরস্পরের স্বার্থের পরিপন্থী। ভারত ও চীন একটি পাঁচ দফা পরিকল্পনায় একমত হয়েছে, যার মধ্যে সৈন্যদের দ্রুত নিষ্ক্রিয় করা এবং পূর্ব লাদাখের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সমাধানের জন্য উত্তেজনা বাড়তে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ এড়ানোর কথা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে, বিস্তারিত রোডম্যাপটি 'পারস্পরিক স্থিতাবস্থা' উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা এপ্রিল মাসে চীনা বাহিনী মোতায়েনের সাথে লড়াই শুরু হওয়ার আগে LAC-টিকে তার আগের রাজ্যে পুনরুদ্ধার করেছিল।
এছাড়া বৈঠক শেষে সরকারি সূত্রের খবর, আলোচনা সম্পন্ন হলেও তাতে ভারত-চীন স্থিতাবস্থা নিয়ে কোনরকম আলোচনায় আসেনি দুই দেশ। তবে, ভারতের পক্ষ থেকে লাদাখে চিনা সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। চুক্তি লঙ্ঘন করা নিয়ে উত্তর চাওয়া হলে, চীনের পক্ষ থেকে কোনোরূপ বিশ্বাসযোগ্য বা ভরসাযোগ্য জবাব পাইনি ভারত।
তবে কেন স্থিতাবস্থা নিয়ে কথা বলা হয়নি, সে বিষয়ে ভারতে অভ্যন্তরীণভাবে বিরোধী পক্ষের প্রশ্নবাণ উঠে আসতে দেখা গেছে টুইটার থেকে। এ বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতি, রাহুল গান্ধী টুইট করে জানিয়েছেন,
“ চীনারা আমাদের জমি দখল করেছে। ভারত সরকার কখন এটি ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে? নাকি এটিকেও 'ঈশ্ববরের আশায়' ছেড়ে দেওয়া হবে? ”
The Chinese have taken our land.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) September 11, 2020
When exactly is GOI planning to get it back?
Or is that also going to be left to an 'Act of God'?
এছাড়া AIIMIM প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি একাধিক প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, “ আমরা বিদেশ মন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতি দেখেছি। @ডিআরএস জয়শঙ্কর কেন লাদাখের LAC-তে এপ্রিল পূর্বক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার অনুরোধ করেননি? অথবা তিনি কি তাঁর বস, পি.এম. মোদীর আইডিয়ার সাথে একমত হন যে, কোনও চীনা সৈনিক এলএসি-এর পাশে উপস্থিত নেই। ”
ওয়াইসি আরও একটি টুইট করে বলেছেন,
“বৈঠকে কোন্ নতুন বিষয়ে একমত হয়েছে দুই পক্ষ যা সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে আলোচনাকে এখন সফল হতে দেবে? সরকারের এ বিষয়টি স্পষ্ট করা উচিত। সামরিক আলোচনার এতদূর কোথাও নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি এবং @রাজনাথসিংহকে মাত্রাতিরিক্ত রাজনৈতিক ব্যর্থতার বোঝা বহন করা উচিত নয়।”
We have seen the joint statement of the foreign ministers. Why has @DrSJaishankar not asked for a return to the status quo ante as of April, on the LAC in Ladakh? Or does he agree with his boss, the @PMOIndia that no Chinese soldier is on our side of the LAC? https://t.co/hI97LgjN7q
— Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) September 11, 2020
তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা কোনোরূপ একতরফা দাবি রাখতে চাই না চিনা সরকারের কাছে।
প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০