মুখোমুখি ধারাবাহিকের দশম তথা অন্তিম পর্ব পড়ুন অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরে, লিখছেন লেখক দেবদাস কুুুণ্ডু। বিগত জানুয়ারী মাস থেকে প্রতি মঙ্গলবার আমরা এই গল্পটিকে সম্প্রচার করেছি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য। লেখকের পাশে এভাবে আপনাদের পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি, গল্পটির পূর্বভাগগুলি পড়ে আপনাদের যেরূপ ভালো লেগেছে, অন্তিম পর্বেও সেই ভালো লাগা ফিরে পাবেন। গল্পটির সমগ্র পর্বগুলি একত্রিত ভাবে পেতে visit করুন GOOGLE PLAYBOOK STORE…
“গল্প : মুখোমুখি”
বিনোদনের তিন দিন :
সোমবার
কাবেরী তালুকদারের “পলাশী ও আমি”
মঙ্গলবার
“নতুন কিছু আসছে…”
বুধবার
শৌভিক দে-র ছোট গল্প ও কমিক সিরিজ
দশম পর্ব (অন্তিম)
অনির্বাণ বলে, ‘খাওয়া ঘুম এগুলো পুরনো হয়ে গেছে। তুই তো নতুন কিছু বলবি…’
সংগীতা বলে, ‘জানি না, এগুলো নতুন কি না। আমাকে যন্ত্রণা দিচ্ছে, তাই তোমাকে বললাম।’
লেখার টেবিলে এসে বসে অনির্বাণ। মোবাইলটার স্পীকার অন করে রেখে একটা সিগারেট ধরায়।
“এখন আমার ইউনিভার্সিটির এক দাদার সঙ্গে সম্পর্ক। ওর নাম কৃত্তিবাস। ও কবিতা লেখে। একটা কাব্যগ্রন্থ আছে, নাম “আত্মারা কথা বলে”; কবিতাগুলি বেশ ভালো। বেশিরভাগ কবিতায় আত্মার কথা; আমি একদিন প্রশ্ন করি, ‘তুমি আত্মায় বিশ্বাসী?’
ও বলল, ‘অবশ্যই, আমি বুদ্ধ নই, কৃত্তিবাস, শরীরটা তো একটা খোলস। একদিন পুড়ে ছাই-ভষ্ম হবে। কিন্তু আত্মা! সে কোনদিন মরে না। সে বেঁচে থাকে, ঘোরাফেরা করে, কথা বলে।’
তা একদিন দেখলাম, একজন কবি যা লেখে তার নাইনটি ডিগ্রি বিপরীতে সে অবস্থান করে। সবাই করে কি না জানি না।”
‘কি রকম?’ অনির্বাণ জিগ্যেস করে।
‘‘একদিন একটা রেস্টুরেন্টে আমরা বসেছি। ও কিছু নতুন কবিতা শোনাচ্ছিল, তার মধ্যে একটা কবিতা খুব ভালো লাগল, নাম “আত্মারা উড়ে বেড়ায়”, কবিতা পাঠ চলছে। হঠাৎ কবিতা থামিয়ে কোন প্রস্তুতি সম্মতি ছাড়াই ওর ডান হাতটা আমার টি শার্টের ভিতর ঢুকিয়ে দিল।’
আমি তীব্র ঘৃণায় বলে উঠি, ‘একি করছো তুমি? তুমি তো শরীরে বিশ্বাসী নও। আত্মায় বিশ্বাসী।’
কৃত্তিবাস অম্লান হাসল, বলল, হ্যাঁ, ‘আমি সত্যিই আত্মায় বিশ্বাসী।’
আমি তীব্র বিতৃষ্ণায় বলি, ‘তাহলে এটা কি করছো? হাতটা সরিয়ে নাও।’
কৃত্তিবাস কি বলল জানো! বলল, ‘আত্মা বুকে থাকে। আমি সেটা ছুঁয়ে দেখতে চাইছে।’…”
হঠাৎ লাইন কেটে যায়। টাওয়ারের গণ্ডগোলে সংগীতাকে আর ছোঁয়া যায় না।
অনির্বাণ চুপচাপ বসে থাকে লেখার টেবিলে। সারাদিনের ক্লান্তিতে তার ঘুমিয়ে পড়ার কথা। কিন্তু রক্তের ভিতর সংগীতার যন্ত্রণা, পুরুষের যৌনতার কাছে তার মায়ের বিপণ্ণতা, কবির ভণ্ডামি, লেখকের কাপুরুষতা সব মিলেমিশে একটা উত্তেজনার ঢেউ লাফিয়ে লাফিয়ে ছুটছে। আজ সারারাত ছুটবে; আরও অনেকদিন ছুটবে, যতদিন না এরা শব্দের শরীরে জায়গা পাচ্ছে।।
…সমাপ্ত
… সবচেয়ে সুন্দর কমেন্টদাতার জন্য রয়েছে সপ্তাহের শেষে বিশেষ সম্মান …
গল্পটি এখনই সম্পূর্ন পড়তে হলে চলে যান নিচের বক্সে দেওয়া ঠিকানায় :
•⧫•
প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ৯ ই মার্চ, ২০২১