মুখোমুখি ধারাবাহিকের নবম পর্ব পড়ুন অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরে, লিখছেন লেখক দেবদাস কুুুণ্ডু। প্রতি মঙ্গলবার থাকছে শুধুমাত্র আপনাদের জন্য…
“গল্প : মুখোমুখি”
বিনোদনের তিন দিন :
সোমবার
কাবেরী তালুকদারের “পলাশী ও আমি”
মঙ্গলবার
দেবদাস কুুুণ্ডুর “মুখোমুখি”
বুধবার
শৌভিক দে-র ছোট গল্প ও কমিক সিরিজ
নবম পর্ব
কান থেকে মোবাইলটা নামিয়ে সিটের পাশে রেখে স্পিকার অন করল অনির্বাণ। এতক্ষণ কানে ধরে রেখে হাতটা ব্যাথা হচ্ছে। শুধু ব্যাথা, আর যন্ত্রণা, গাড়ি চলছে। জানালা দিয়ে হাওয়া আসছে। আকাশ দেখছে। অন্ধকারে বিন্দু বিন্দু তারারা জ্বলছে-নিভছে, নিঃসঙ্গ চাঁদ একা একা সরে যাচ্ছে। পৃথিবী ঠিক আছে, যেমনটা আগে ছিল। শুধু মানুষের সম্পর্কগুলোর রং পালটে যাচ্ছে। সে বুঝতে পারছে তার কপালে ঘাম হচ্ছে। সত্যিই, জীবনের এই দিকগুলো তার দেখা হয়নি। কিন্তু নিজের যৌন সম্পর্ক সে রক্তে অনুভব করেছে। অস্তিত্বের বিপন্নতা অনুভব করেছে শিরায় শিরায়। তবু কেন তার গল্পে সে কাহিনি স্থান পায়নি? এও তো এক ধরনের কাপুরুষতা, ভণ্ডামি।
‘হ্যালো? ফোনটা ছেড়ে দিলে নাকি?’
ফোনটা হাতে তুলে অনির্বাণ বলে, ‘ছাড়িনি’।
‘রাস্তায় কি জ্যাম ছিল নাকি?’
‘তা ছিল একটু। একটা পাম্পে আবার তেল নিল। হিসি করতে গেল ড্রাইভার।’
সংগীতা হাসল, ‘বলছি গল্প লেখার হাত আছে তোমার। তুমি এসব বিষয় নিয়ে লেখ। তুমি কোচিং করো আর ঘরে বসে বসে বানিয়ে গল্প লেখ।’
‘গল্প বানাতে হয়। সবাই বানাই। তবে গল্পের পা থাকে মাটিতে। অর্থাৎ অল্প হলেও আমি চরিত্রগুলো কিছুমাত্র দেখেছি।’
‘আরও আরও মানুষকে দেখতে হবে তোমায়! বেরিয়ে পড়। তুমি তো একা মানুষ। মুশাফির হও। একটা কথার জবাব দেবে? আচ্ছা বলতো এই পৃথিবীতে বিপন্ন কোন প্রাণী?’
‘তুই বল।’
‘মেয়েরা। শুধু বিপন্ন নয়, সংখ্যায় তারা কমে যাচ্ছে। প্রতিদিন কন্যাভ্রুণ হত্যা হচ্ছে। যে যৌনতার জন্য পুরুষ বেঁচে আছে। একদিন দেখবে যৌনতার মুঠি রুখা-শুখা। তখন বুঝবে তার লড়াই, বেঁচে থাকা সব অর্থহীন।’
অনির্বাণের ভাবনায় এসব এসেছে। সেভাবে গল্পে আনেনি কেন সে?
‘হ্যালো বাগুইআটি পৌঁছে গেছো?’
‘বাড়িতে ঢুকে পড়েছি।’
‘এখন ঘুম আসছে না, তাই তোমাকে আরও একটা ঘটনার কথা বলবো, তুমি এখন শুয়ে পড়বে? প্লিজ একটু জেগে থাকো!’
ক্রমশ…
… সবচেয়ে সুন্দর কমেন্টদাতার জন্য রয়েছে সপ্তাহের শেষে বিশেষ সম্মান …
গল্পটি এখনই সম্পূর্ন পড়তে হলে চলে যান নিচের বক্সে দেওয়া ঠিকানায় :
প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ২ রা মার্চ, ২০২১