ধারাবাহিক গল্প : পলাশী ও আমি (প্রথম পর্ব)

 পলাশী আমি  

কাবেরী তালুকদার 


Img Loading…



 অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরে সর্বাধিক বাৎসরিক ভিউপ্রাপ্ত লেখাটির জন্য থাকবে আকর্ষণীয় উপহার, এছাড়া সর্বাধিক কমেন্টপ্রাপ্ত লেখাটির জন্য রয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায় সরাসরি জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ। আপনিও লেখা পাঠাতে পারেন উপরের মেনুবারে দেওয়া অপশনে  গিয়ে। বিশদে জানতে যোগাযোগ করুন এই নম্বরে: 8013850709

  বিনোদনের তিন দিন : 

সোমবার
কাবেরী তালুকদারের “পলাশী ও আমি”
মঙ্গলবার
দেবদাস কুুুণ্ডুর “মুখোমুখি”
বুধবার
শৌভিক দে-র ছোট গল্প ও কমিক সিরিজ

  • অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তর
  • আপডেট : Happy New Year 2021
  • শৌভিক দে

লেখিকার বিষয়ে কিছু কথা :
(শীগ্রই জানবেন)


মাঝে মাঝে ‘ধুর ভালো লাগছে না’-তে পেয়ে বসে। তখন শতচেষ্টা করলেও মন কিছুতেই সারা দেবে না। এদিকে আকাশের গ্রহ-তারাদের কথা দিয়ে রেখেছি, কাল লেখা পাবেই। অগত্যা মনকে জাগাতে জা-এর ঘরে গেলাম। একটু গল্প করলাম। তারপর, আবার চলে এলাম। মনকে বললাম, এবার খোল তোর ঝুলি, দেখি কি ধন রত্ন আছে। যা পেলাম তাই লিখে যাচ্ছি হুবহু।
তখন ১৯৮৩ সাল। আমি এম. এ. পড়ছি,কল্যানী ইউনিভার্সিটির ছাত্রী। সময়টা নভেম্বরের প্রায় শেষ। সব ডিপার্টমেন্টে এক্সারসনের নোটিস চলে গেছে । আমরা শুধু দর্শনরাই পাইনি। একটা কথা। এ গল্প কিন্তু ভারতবর্ষের পরাধীন হবার ইতিহাস। কারা যুক্ত ছিলেন, সিরাজের পতন ঘটানোর জন্যে, তাঁদের উদ্দেশ্য কি ছিলো, এই সব… কিন্তু সবার কাছে আগে নিজেকে পরিচিত করিয়ে নেওয়াটা ভীষণ জরুরী।

যাইহোক, 
সবাই মিলে ঠিক হল, চল্ ভি.সি.-র কাছে। 
— স্যার আমরাও যাবো।
ভি সি বললেন ,
— তোমরা তো দর্শনের। তোমরা গিয়ে কি করবে?
— স্যার দর্শন করবো। মানে দেখতে যাবো। 
স্যার বুঝলেন এরা দর্শন নিয়ে পড়লেও মোটেও দার্শনিক মনোভাবাপন্ন নয়। অতএব বললেন,
— ঠিক আছে। দুদিনের ট্যুর। কাছে পিঠে কোথাও ঘুরে এসো।
ঠিক হলো মুর্শিদাবাদ। যদিও সে সময় মুর্শিদাবাদ আমার চষা জায়গা, আমার দিদির বাড়ি।

রাত ১২টায় কাচরাপাড়া স্টেশন থেকে ওঠা। আমাদের ইউনিভার্সিটির লাইব্রেয়ান কমলদার তত্ত্বাবধানে আমরা তথাকথিত দর্শনার্থী চলেছি। আমাদের কোন স্যারই নিতে চান না। কিন্তু, কমলদা আমাদের মতোই বিচ্ছু। ঠিক দুজন স্যার আর একজন ম্যাডামকে ম্যানেজ করে ফেলেছে। তাঁদের মধ্যে ম্যাডাম মিনতিদি আবার নাক ডাকায় স্পেসালাইজেশন করেছেন। 
আঠাশ জন ছেলে মেয়ে। প্রিয় বন্ধুরা ছিটকে গেছি। অগতির গতি সেই কমলদা। আবার আমরা সাতজন কমলদার গ্রুপে এলাম। বাবা আগে থেকেই পাশ দিয়ে ছিলেন আমাকে। কিন্তু তবুও আমি টিকিটের টাকা কমলদাকে দিয়েছিলাম। ট্রেনে ওঠামাত্রই শিলা বাঙ্কে উঠে শুয়ে পড়লো। ওর খুব মাইগ্রেনের যন্ত্রনা, ঔষুধ খেয়েছে। কমলদা ঠেলেঠুলে এক সাধুবাবার পাশে জায়গা করে বসে গেলো। আমরা অনেকেই খবরের কাগজ বিছিয়ে মেঝেতে বসলাম। অত রাতেও কি ভীর! খানিকটা এগোবার পর হঠাৎ দেখি একটি ছেলে সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। একে তো আমাদের হট্টোগোলে কানপাতা দায়, এবার সেই ছেলেও বলতে শুরু করলো। এই ঘটনাটা মন দিয়ে পড়বেন, তাহলেই জানতে পারবেন কাকে প্রকৃত সেলসমানশিপ বলে!

আগামী পর্বে : 
গন্ডগোলের মধ্যে শীলা হঠাৎ গড়িয়ে পড়ল বাঙ্ক থেকে… অন্যদিকে কমলদা হঠাৎ চেঁচিয়ে ওঠে, “লাশ, লাশ…”

✓ সপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ট কমেন্টদাতার জন্য রয়েছে বিশেষ সম্মান…

প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ৪ ই জানুয়ারি, ২০২১
Souvik Dey

Hello. My name is Souvik Dey. I am a B.Tech. 3rd year student. I did my diploma in civil engineering and currently pursuing BTech in Computer Science. My team and I run this blog together. Don't forget to share these articles with your friends. Thank you.

Post a Comment

Thank you for your valuable time.
We are fond of your comments.(but, do not spam)

Previous Post Next Post