মুখোমুখি ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্ব পড়ুন অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরে, লিখছেন লেখক দেবদাস কুুুণ্ডু। প্রতি মঙ্গলবার থাকছে শুধুমাত্র আপনাদের জন্য…
“গল্প : মুখোমুখি”
আগে যা ঘটেছে…
বিনোদনের তিন দিন :
সোমবার
কাবেরী তালুকদারের “পলাশী ও আমি”
মঙ্গলবার
দেবদাস কুুুণ্ডুর “মুখোমুখি”
বুধবার
শৌভিক দে-র ছোট গল্প ও কমিক সিরিজ
দ্বিতীয় পর্ব
অনির্বাণের উৎসাহ তখন দ্বিগুণ, ‘তোর বাড়ি যাব, কখন থাকবি বল?’
‘আমার বাড়ি? আমার বাড়িতে জায়গা কোথায়? তুমি তো এসেছো কতবার…’
কথাটা মিথ্যে নয়। সে কয়েকবার সংগীতার বাড়ি গেছে। বস্তিবাড়ি, একটা ছোট্ট ঘরে ছ’টা প্রাণী থাকে। সংগীতার দাদু-ঠাকুমা, মা-বাবা, বোন আর সে নিজে, যেন একটা ছোট্ট খাঁচায় কতগুলো গিনিপিগ। এই বস্তি অঞ্চলটার প্রায় ঘরেই তাই। এই বাড়িতে ১৫-২০টা ঘর হবে। তাদের হৈ-চৈ, স্নান, বাথরুম, কারো ঘরে টেপ বাজছে, কারো ঘরে টিভি চলছে, কারো ঘরে দাম্পত্যের চিরকালের ঝগড়া, জমজমাট একটা হাট। এই হাটের মাঝে সংগীতা এম.এ. পড়ছে, এটা একটা সাধনা।
‘হ্যালো।’ সংগীতা বলে, ‘তুমি ঠিক সন্ধ্যা ছয়টার সল্টলেকের সিটি সেন্টারে দোতলায় কফিশপে অপেক্ষা করবে। আমার একটু দেরি হলেও দাঁড়াবে।’
‘সিটি সেন্টারের নাম শুনেছি।’ অনির্বাণ বলেছিল, ‘কোথায় নামতে হবে?’
‘তুমি বাগুইআটি থেকে হার্ডকো মোড়ে নামবে, অটো ধরবে, বলবে সিটি সেন্টার।’
সংগীতা দেরি করেনি। ইউনিভার্সিটি থেকে সোজা চলে এসেছে, ছ’টা পাঁচে।
‘কফিটা তো ঠান্ডা হয়ে গেল? তুমি খাচ্ছো না কেন?’ সংগীতা নিজের কফি শেষ করেছে অর্ধেক।
অনির্বাণ আত্মমগ্নতা ভেঙে কফিতে চুমুক দেয়। সত্যিই কফিটা ঠান্ডা হয়ে গেছে। এক সময় ব্ল্যাক কফি আর লেখক বন্ধুদের টানে প্রতি শনিবার তাড়াতাড়ি কোচিং সেরে ছুটতো কফিহাউসে। ফিরত আড্ডা দিয়ে রাত ন’টা নাগাদ। সেই সব স্বপ্নময় উষ্ণস্বর্ণ দিনগুলি ফুরিয়ে গেছে দশ বছর আগে। ঠান্ডা কফি নিয়েই চুপচাপ বসে থাকে। সংগীতার প্রশ্নের উপযুক্ত জবাব এখনও পাচ্ছে না।
‘তুমি নিশ্চয় জানো’, সংগীতা বলে, ‘রবি ঠাকুরের অনেক লেখায় যৌনতা আছে, ল্যাবরেটরি, রবিবার। আচ্ছা রবি ঠাকুরের কথা ছাড়ো। বুদ্ধদেব বসু, সমরেশ বসুর গল্পে যৌনতা আছে। আরও যদি পিছনের দিকে যাও, মহাভারত… আর তুমি এই সময়ের লেখক। তোমার কোন গল্পে যৌনতা থাকবে না!
সংগীতার প্রশ্নের জবাব তাকে দিতেই হবে। একজন লেখক হিসেবে সে চুপচাপ কফি নিয়ে বসে থাকতে পারে না। শিরদাঁড়া সোজা করে ঠান্ডা কফির মগটা টেবিলে রাখে। বুক পকেট থেকে সিগারেট বের করে ধরায়।
‘আমাকে একটা দাও।’ সংগীতা হাত বাড়ায়।
‘কবে থেকে খাচ্ছিস?’
‘ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে অভ্যাসটা ধরলাম।’
একটা সিগারেট বাড়িয়ে দিয়ে অনির্বাণ বলে, ‘লেখায় যৌনতা থাকেতই হব!’
ক্রমশ…
… সবচেয়ে সুন্দর কমেন্টদাতার জন্য রয়েছে সপ্তাহের শেষে বিশেষ সম্মান …
গল্পটি এখনই সম্পূর্ন পড়তে হলে চলে যান নিচের বক্সে দেওয়া ঠিকানায় :
প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১