শুরু হচ্ছে ২০২১ বর্ষে অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তর দ্বারা আয়োজিত নতুন এক লেখনী পাতা, লিখবেন লেখক দেবদাস কুুুণ্ডু। প্রতি মঙ্গলবার থাকছে শুধুমাত্র আপনাদের জন্য…
“গল্প : মুখোমুখি”
বিনোদনের তিন দিন :
সোমবার
কাবেরী তালুকদারের “পলাশী ও আমি”
মঙ্গলবার
দেবদাস কুুুণ্ডুর “মুখোমুখি”
বুধবার
শৌভিক দে-র ছোট গল্প ও কমিক সিরিজ
প্রথম পর্ব
‘তোমার গল্পে সেক্স নেই কেন?’
সংগীতার অকপট প্রশ্নে অনির্বাণ স্তব্ধ। সে সংগীতার মুখের দিকে তাকায়। সংগীতা ছিল তার ছাত্রী। বারো ক্লাস এবং বি.এ. তার কাছেই বাংলা পড়েছে। ওর সঙ্গে পড়ত আরও তিনটে মেয়ে। তুলিকা, অঙ্কিতা ও রত্না। ওরা ভিন্ন শাখায় চলে গেছে। ওরা কোনদিন তাকে “স্যার” সম্বোধন করেনি। খোলামেলা ও বন্ধুর মতো মেলামেশা করেছে। নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হত। একমাত্র সংগীতাই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে পড়ছে। সংগীতা শ্যামলা, মুখশ্রী সুন্দর। চোখ দু’টো জল ছবির মতো উজ্জ্বল। মেদহীন বাইশ বছরের শরীর। এখন হাতে কফির মগ। চুমুক দিয়ে বলল, ‘তুমি বুঝি ভাবতে পারোনি আমি এমন একটা প্রশ্ন করবো?’
কথাটা মিথ্যে বলেনি সংগীতা। অনির্বাণ সংগীতাকে দেখে। ওর মুখে কয়েকটা কালো দাগ।
‘কি হল কিছু বলছো না কেন?’ সংগীতার ঠোঁটের ফাঁকে দুষ্ট হাসি।
অনির্বাণ এবারও নির্বাক। সিটি সেন্টারেরর কফিশপের দোতলায় বসেছে তারা। এখন সন্ধ্যা। অন্যান্য টেবিলগুলিতে যুবক যুবতী গভীর আলোচনায় বা প্রেমালাপে মগ্ন। এক কোনার টেবিলে এক বয়স্ক দম্পতি কফি খাচ্ছে আর গল্প করছে। অনির্বাণ সেসব দেখছে, ভাবছে, অনেক বছর সে লেখালেখি করছে। তা প্রায় পঁচিশ বছর হবে। যে বন্ধুটি তার ভিতর এই বিষ নেশাটি ধরিয়েছিল, সে আজ পৃথিবীতে নেই। অনিমেষ মারা গেছে ফুসফুসের অসুখে। তার প্রায় চল্লিশটা গল্প কিছু জনপ্রিয় দৈনিক সংবাদপত্রে, কিছু বাণিজ্যিক ম্যাগাজিনে, বাকি লিটিল ম্যাগাজিনে ছাপা হয়েছে। একসময় লেখা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিদিনের সূর্যোদয়ের মতো লেখার অভ্যাস ফিরে ফিরে আসে।
লেখা আসলে জঠরের গর্ভযন্ত্রণার মতো। একদিন কলেজ স্ট্রিটে দেখা এক লেখক বন্ধুর সঙ্গে। তারই অনুপ্রেরণায় ‘গল্প পঁচিশ’ প্রকাশ পেল। একটা কপি সংগীতাকে দিয়ে সে বলেছিল, ‘কেমন লাগল জানাস।’
সংগীতা বইটা নিয়ে দেখছিল, ওর বস্তিবাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে। অনির্বাণও দাঁড়িয়ে ছিল কাছে। গাড়ির হর্ন, পাশে শনি মন্দিরের ঘণ্টা, অনির্বাণ বলেছিল, ‘এদিকে সরে আয়।’
“মনিকাঞ্চন” সোনার দোকানটা বাঁ দিকে রেখে ওরা একটা সরু গলির মুখে গিয়ে দাঁড়াল। বইটা দেখছিল সংগীতা, মনোযোগ গভীর। মুখ তুলে বলে, ‘এত গল্প লিখলে কবে?’
‘অনেক বছর ধরে।’
‘কত দিতে হবে?’
‘কিছু দিতে হবে না। পড়ে তোর মতামতটা দিস।’
‘দাম না দিয়ে আমি নেব না। নিজেই আবার পাতা উল্টে দেখে নিয়ে বলল, ‘১৭৫ টাকা! ব্যাগ থেকে ১৫০ টাকা বের করে বলল, ‘এটা তুমি রাখো। আমাকে পনেরো দিন সময় দাও।’
কথা রেখেছে সংগীতা, ঠিক পনেরো দিনের মাথায়, আজ দুপুরে ফোন করেছিল। স্ক্রিনে সংগীতা সাহা দেখে অনির্বাণ উৎসাহ নিয়ে বলেছিল,
‘বইটা পড়েছিস?’
‘পড়েছি।’
‘কেমন লাগল বল?’
‘ফোনে বলা যাবে না, দেখা করে বলবো।’
ক্রমশ…
… সবচেয়ে সুন্দর কমেন্টদাতার জন্য রয়েছে সপ্তাহের শেষে বিশেষ সম্মান …
গল্পটি এখনই সম্পূর্ন পড়তে হলে চলে যান নিচের বক্সে দেওয়া ঠিকানায়:
প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ৫ ই জানুয়ারি, ২০২১