দু’তিনটে কুকুর রোজ সকালে চায়ের দোকানে মর্নিংওয়াকারদের ভীড়কে বড় বিরক্ত করে...
“সমবেদনা”
সংলগ্ন তথ্য :
ব্লগ কমিউনিটি
আমাদের সমগ্র দলের বিষয়ে জানতে হলে এখনই চলে
যান আমাদের পেজে।
যান আমাদের পেজে।
লেখককে লিখুন
গল্পটি পড়ে লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
মেইল আইডি : (আসছে)
মেইল আইডি : (আসছে)
কপিরাইট
লেখক এবং প্রকাশকের অনুমতি ছাড়া গল্পটির কোনোরূপ ব্যবহার বরদাস্ত করা হবে না,
প্রয়োজনে ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রয়োজনে ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-: সূচীপত্র :-
- অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তর
- সর্বশেষ আপডেট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০
- শৌভিক দে
- সূচনা :
“সমবেদনা” গল্পটি এখন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আপনি পড়তে পারবেন অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরে । লেখাটি আমাদের দিয়েছেন লেখিকা আরতি মুখার্জি মহাশয়া । লেখাটি নিজেরা পড়ুন এবং অন্যদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিন শেয়ারের মাধ্যমে।
চরম ঘৃনা থেকে কীভাবে মিসেস সরকারের মনে রাস্তার কুকুরগুলোর জন্য সমবেদনার উদয় হলো, তা নিয়েই আমাদের আজকের উপস্থাপনা।
✓ নাম : আরতি মুখার্জি
✓ বয়স : অজ্ঞাত
✓ ঠিকানা : অজ্ঞাত
✓ মেইল আইডি : অজ্ঞাত
✓ সম্পর্ক : লেখিকার সাথে অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরের পথ চলা শুরু হলো এই সুন্দর গল্পটির হাত ধরে। আশা করি, এই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং দর্শকদের কাছে সুমধুর সম্পর্কের রূপ নেবে।
- লেখক-কথা :
অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরের ওয়েবসাইট খুলে দেখলাম, পত্রিকার নাম নির্বাচনে কিছু বিশেষত্ব আছে, নানা ধারার ভাবনা স্থান পাচ্ছে, চেতনাতেই আকৃষ্ট হলাম, সমৃদ্ধও হতে চাই।
- প্রয়োজনীয় ট্যাগ : অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তর, সমবেদনা, আরতি মুখার্জি, story, ছোটগল্প।
- মূল-রচনা :
দু’তিনটে কুকুর রোজ সকালে চায়ের দোকানে মর্নিংওয়াকারদের ভীড়কে বড় বিরক্ত করে। সকালবেলায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে কুকুরকে বিস্কিট খাওয়ানোর এদৃশ্য রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেখা যায়। আজকাল চায়ের দোকানেও বাধাধরা হয়ে গেছে।
পূণ্যলোভী মর্নিংওয়াকারদের দৌলতে কুকুররা বোধ হয় আজকাল হাড়-মাংস চিবোতে ভুলে গেছে। দামী বিস্কিট বেশি খায়, লেড়ে বিস্কিট আজকাল খায় না ওরা।
দলের অন্য সকলের সাথে কুকুর পরিবৃত হয়ে চা খেতে মিসেস সরকারের অসুবিধা হয় না। কিন্তু, কুকুরদের লোভাতুর চাহনি দেখে বিস্কিটে কামড় দিতেও ঘৃণা হচ্ছে ক’দিন ধরে। মিসেস সরকারের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে ঐ দানশীল লোকগুলোর উপরে। কমলের দোকানে বসে একটু রিল্যাক্স করে বিস্কিট সহযোগে চা খাওয়া, তাও কী খেতে দেয় কুকুর দুটো!
আদিখ্যেতা করে একটা ঠেলাওয়ালা ওদের নাম দিয়েছে, কানা আর মনা। রোজই চা খাওয়ার আগে ওদের দুজনের পিঠে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। কানার কানা চোখটা পরীক্ষা করে দেখে। মিসেস সরকারের গা ঘিন ঘিন করে ওঠে। শত হলেও রাস্তার কুকুর তো! একদিন চা খেয়ে ফেরার পথে তিন নম্বর কুকুরটা এসে পথ আটকালো তার, শাড়ির আঁচল টা কামড়ে ধরে টানছে, সঙ্গে তিন-চারটে বাচ্চা।
“যাহঃ, রাস্তার ময়লা খাওয়া মুখ, দিলে তো সব! বাড়ী গিয়ে কাপড় ধুয়ে ফেলতে হবে, স্নান ও করতে হবে।”
মিঃ সরকার পাশেই হাঁটছিলেন, খেয়াল করেননি, কথাটা শুনে মিঃ সরকার বললেন,
“কাপড় ধরে টানছিলো বুঝি! তার মানে
তোমার কাছে খাবার চাইছিলো। দেখলে না! সঙ্গে বাচ্চা গুলো... বাচ্চা গুলো তো মায়ের দুধ খাচ্ছে, তাই না! ওরও তো পেটে কিছু খাবার পড়ার দরকার।”
আশ্চর্য, ঐ ভাবে তো কোনোদিন
ভাবেনি মিসেস সরকার। শুনে থেকেই মনটা কেমন করছে, কিছু একটা করার জন্য মন অস্থির হয়ে উঠছে।
আহা রে, বুকের দুধটাই বা আসবে কোথা থেকে, মা-ই যদি খাবার না পেলো। খুব আফসোস হচ্ছে, সেই মুহূর্তে এই কথাটা তারই বা মনে হলো না কেন?
তার পরের ক’টা দিন, রোজই মিসেস সরকার কুকুরটার খোঁজ করছে, নাহ, ঐ মুলুকেই তার আর দেখা পাওয়া গেলো না।
এর ক’দিন পরে আবার কী করে যেন মিসেস সরকারের আরও একটু চোখ খুলে গেলো।
কমলের চায়ের দোকানে সকালবেলার এই সময়টায় রোজ রেডিওতে পুরোনো দিনের গান বাজতে থাকে।
আজ আর বাজছে না।
“কেন গো কমল, কী হল, রেডিও বন্ধ রেখেছ?”
কমল কোনো উত্তর দিলো না। মুখটা গম্ভীর। একটু পরে নিজে থেকেই বললো, পরশু দিন ভোর-রাতে বুড়ি কুকুরটা মারা গেছে। গতকাল আমার দোকান বন্ধ ছিল, আজ সকালে এসে জানতে পারলাম সে খবর। মনটা ভালো নেই।”
মিসেস সরকার, “কোন কুকুরটা, যেটার চোখ কানা?”
কমল, “ওটাতো বুড়ো।”
মিসেস সরকার, “কুকুরের আবার
বুড়ো-বুড়ি আছে? আমার তো সবগুলোই একই রকম লাগে। কি হয়েছিলো বুড়ি কুকুরটার?”
কমল, “মুদি দোকানের সামনেটায় ঘুমিয়েছিলো, মাথার উপর দিয়ে ভ্যান চলে গেছে।”
“আহা, ঘুমন্ত প্রাণীটা!”
“সেটা কথা নয়, বুড়িটা মারা গেছে অবধি বুড়োটা দাঁতে কিছু কাটছে না, দুদিন হয়ে গেলো, কুকুরটা কিছুতেই কিছু খাচ্ছে না। কেউই খাওয়াতে পারছে না। বিস্কুট দিলে খাওয়া তো দূরের কথা, একজন জোর করে ধরে একটা বিস্কুট মুখে ঢুকিয়ে দিয়ে ছিলো, সঙ্গে সঙ্গে মুখ থেকে বার করে দিয়েছে। আজ সকালেও কিছু খাওয়ানো যায়নি।”
“কোথায়, সেই কুকুরটা?”
“ঐ তো জলের কলের ধারে মাথা গুঁজে বসে আছে।”
দুদিন পরে মিসেস সরকার একটু অলংকৃত ভাষায় বলতে গিয়েছিলো, “কী গো কমল, বুড়ো
কুকুরটার অশৌচ কাটলো? কিন্তু
কথাটা মুখে আটকে গেলো, বলা গেলো না। আজ স্বজন হারানোর ব্যাথাটা বুকে কোথায় যেন, তারও বাঁধছে।
- সমাপ্তি :
আরতিদেবীর লেখা গল্পটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের যাতে উনি পুনরায় আমাদের ব্লগে লেখেন। ব্লগে আরও নিত্য নতুন গল্প-কবিতা সকলের আগে পড়তে এবং বিজ্ঞাপন এড়াতে অলীক চেতনা পত্রিকা দপ্তরকে এখনই বিনামূল্যে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
এখন নিচের শেয়ার অপশনগুলি থেকে শেয়ার করে অন্যদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন আপনি।
প্রকাশক : শৌভিক দে
প্রকাশনার তারিখ : ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০